দেশে কয়েক দিন যাবত রাজাকার রাজাকার ট্রাম চলছে। জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের একটি বক্তব্যের পর থেকে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যকার বিরোধ এখন তুঙ্গে। দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তৃতা এখন বিএনপির নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। যেন এটা তাদের রুটিন ওয়ার্ক। বিএনপি মহাসচিব থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা কেউ বাদ দিচ্ছে না। যে যেভাবেই পারছেন বিষেদাগার করেই যাচ্ছেন। জামায়াত ও তাদের সভা সমাবেশে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সভা সমাবেশ বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াতের এমন প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব নেটিজেনরা ভালো ভাবে নিচ্ছে না। কেননা এমন আচরণ বিগত সাড়ে ষোল বছর আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে করে গেছে। এমনকি কেউ কেউ বলছেন রাজাকার রাজাকার বলতে বলতেই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। শেখ হাসিনার তার শাসানামলে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তাকে রাজাকার তকমা লাগিয়ে দিতেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে রাজাকার উপাধি দিয়ে জাতীয় সংসদ গরম করে রেখেছিল। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থানে জাতীয় স্লোগান ছিল তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার। দেশের এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি- জামায়াতের এমন প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব বন্ধ ও আওয়ামীলীগ এর মত রাজাকার রাজাকার ট্রাম কার্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন মানিক। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, রাজাকার তকমা দিয়ে জনগণের উপর জুলুম করে একটি গোষ্ঠীর পতন হয়েছে! কাউকে সমালোচনার জন্য অন্য শব্দ ব্যবহার করুন। এখনও যারা এই বস্তাপচা বয়ান দেবেন,তারা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন!
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার এই স্টেটমেন্ট ভেবে দেখার অনুরোধ থাকলো…..