০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ময়মনসিংহ মহানগরীর ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে এটিএম মাসুম

সকল বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

  • সাদিক আহমেদ
  • আপডেট সময়: ০৯:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৫২০ Time View

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। একটা অন্ধকার যুগ পেরিয়ে আলোর সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। জুলুম, নির্যাতন, লুটপাটের জঘন্যতম একটি স্বৈরাচারি অধ্যায় পেরিয়ে আমরা এদেশকে আবারো গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। বিগত ১৮ বছর এদেশে আমরা কিভাবে ছিলাম সেটা আপনাদের আমাদের সবারই জানা আছে। এ অধ্যায়টি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত থাকবে।”

 

শনিবার ১১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মহানগরীর উদ্যোগে ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরী আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আমীর মোঃ আব্দুল করিম, মহানগরী নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

 

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের চিত্র যদি আমরা আমাদের সামনে রাখি তাহলে গত ১৮ বছরের আওয়ামী লীগের জাহিলিয়াত ছিল তার চেয়েও জঘন্য। আইয়ামে জাহেলিয়াতেও মানুষ মেরে লাশের উপরে নিত্য করা হয়নি। আওয়ামী জাহিলিয়াতের যুগে এই ধরনের জঘন্যতম পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।”

 

তিনি বলেন, “আওয়ামী সরকার দেশের অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে। বিশেষ করে তারা ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করার জন্য মদের মতো হারাম জিনিসকে তারা বৈধতা দিয়েছিল।”

 

তিনি আরো বলেন “স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের শাহাদাত কবুলের জন্য আমরা দোয়া করছি। আর যারা আহত হয়েছে, তাদের সুস্থতার জন্যও আমরা দোয়া করছি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যু্ত্থানের পর বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই বিগত বছরে যত বৈষম্য, জুলুম, নির্যাতন, শোষণ, বঞ্ছনা ছিল এগুলো দূর করে বাংলাদেশকে একটি বসবাসের উপযোগী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলার দায়িত্ব এখন আমাদের কাঁধে। সেই দায়িত্বকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ইনশাআল্লাহ।”

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয়

ময়মনসিংহ মহানগরীর ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে এটিএম মাসুম

সকল বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে

আপডেট সময়: ০৯:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। একটা অন্ধকার যুগ পেরিয়ে আলোর সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। জুলুম, নির্যাতন, লুটপাটের জঘন্যতম একটি স্বৈরাচারি অধ্যায় পেরিয়ে আমরা এদেশকে আবারো গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। বিগত ১৮ বছর এদেশে আমরা কিভাবে ছিলাম সেটা আপনাদের আমাদের সবারই জানা আছে। এ অধ্যায়টি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত থাকবে।”

 

শনিবার ১১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মহানগরীর উদ্যোগে ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরী আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা আমীর মোঃ আব্দুল করিম, মহানগরী নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।

 

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের চিত্র যদি আমরা আমাদের সামনে রাখি তাহলে গত ১৮ বছরের আওয়ামী লীগের জাহিলিয়াত ছিল তার চেয়েও জঘন্য। আইয়ামে জাহেলিয়াতেও মানুষ মেরে লাশের উপরে নিত্য করা হয়নি। আওয়ামী জাহিলিয়াতের যুগে এই ধরনের জঘন্যতম পৈশাচিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।”

 

তিনি বলেন, “আওয়ামী সরকার দেশের অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছে। বিশেষ করে তারা ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করার জন্য মদের মতো হারাম জিনিসকে তারা বৈধতা দিয়েছিল।”

 

তিনি আরো বলেন “স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের শাহাদাত কবুলের জন্য আমরা দোয়া করছি। আর যারা আহত হয়েছে, তাদের সুস্থতার জন্যও আমরা দোয়া করছি। ৫ আগস্টের গণঅভ্যু্ত্থানের পর বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই বিগত বছরে যত বৈষম্য, জুলুম, নির্যাতন, শোষণ, বঞ্ছনা ছিল এগুলো দূর করে বাংলাদেশকে একটি বসবাসের উপযোগী শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলার দায়িত্ব এখন আমাদের কাঁধে। সেই দায়িত্বকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ইনশাআল্লাহ।”